বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) প্রোগ্রাম উন্নত করতে এই ঋণ-সহায়তা দিচ্ছে এডিবি। ছবি; এডিবি

প্রযুক্তি ও প্রকৌশল কার্যক্রম শক্তিশালী করতে বাংলাদেশকে ১০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। 

বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১০ টাকা) হিসাবে টকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।  

শুক্রবার ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় এডিবি সদর দপ্তরে সংস্থাটির বোর্ড সভায় এই ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।  

এডিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) প্রোগ্রাম উন্নত করতে এই ঋণ-সহায়তা দিচ্ছে এডিবি। 

বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি হচ্ছে-বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এডিবির সোশ্যাল সেক্টর ইকোনমিস্ট রিওতারো হায়াশি বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তি গ্রহণকে ত্বরান্বিত করতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য উচ্চশিক্ষায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামকে উন্নীত করা সময়ের প্রয়োজন।” 

“এই অর্থে নেওয়া প্রকল্পটি বাংলাদেশে আরও দক্ষ এবং প্রযুক্তি-সচেতন স্নাতক এবং উদ্যোক্তা বিকাশে সহায়তা করবে; যারা দেশের আইটি শিল্পকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।” 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এই তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সফ্টওয়্যার প্রকৌশল এবং তথ্য প্রযুক্তি ডিগ্রি প্রোগ্রামগুলোাকে আপগ্রেড করবে। 

এই প্রোগ্রামগুলো মিশ্রিত শেখার কৌশল গ্রহণ করবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স এবং ইন্টারনেট অফ থিংসের মতো সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলোকে একীভূত করবে। 

এই প্রোগ্রামগুলো আন্তর্জাতিক মানের হবে; যাতে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মান মেনে আপডেট করা পাঠ্যক্রম পায়। 

এডিবির অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্পের আওতায় এই তিন  বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শ্রেণীকক্ষ ও পরীক্ষাগার স্থাপন, সহযোগিতা এবং স্টার্ট-আপ স্পেস এবং সহায়ক সুবিধাদি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে। 

“এই সুবিধাগুলো জলবায়ু এবং দুর্যোগ-স্থিতিস্থাপক নকশা, শক্তি এবং জল-সংরক্ষণ বৈশিষ্ট্যগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে এবং নারী-বান্ধব সুযোগ-সুবিধা এবং পরিষেবাগুলো অন্তর্ভুক্ত করবে।” 

প্রকল্পের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় তিনটির নতুন শিক্ষামূলক পদ্ধতি এবং উদীয়মান ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে শিক্ষকদের সক্ষমতা তৈরি করা হবে। 

এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষকরা যৌথ গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার জন্য শিল্প অংশীদারদের সাথে কাজ করবে। 

বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ সুযোগ, কর্মজীবন কাউন্সেলিং এবং শিল্প প্লেসমেন্ট স্নাতক ছাত্রদের জন্য প্রদান করা হব। 

“মহিলাদের এক্ষত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”