বৈশ্বিক উদ্ভাবনী সূচকে তিন ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

বৈশ্বিক উদ্ভাবনী সূচকে তিন ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

জেনেভাভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) প্রতিবছর এই সূচক প্রকাশ করে থাকে। এতে একটি দেশের অবস্থান নির্ণয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মানবসম্পদ ও গবেষণা, অবকাঠামো, পরিশীলিত বাজার ও ব্যবসা, জ্ঞান ও প্রযুক্তি, সৃজনশীলতাসহ মোট সাতটি সূচকের মূল্যায়ন করা হয়।

বৈশ্বিক উদ্ভাবনী সূচক বা গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে (জিআইআই) ২০২৩ সালে তিন ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ।

২০২২ সালে জিআইআই সূচকে ১৩২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০২তম। চলতি বছরও ১৩২টি দেশের মধ্যে তিন ধাপ পিছিয়ে ১০৫তম অবস্থানে নেমে এসেছে বাংলাদেশ।

জেনেভাভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) প্রতিবছর এই সূচক প্রকাশ করে থাকে।

এতে একটি দেশের অবস্থান নির্ণয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মানবসম্পদ ও গবেষণা, অবকাঠামো, পরিশীলিত বাজার ও ব্যবসা, জ্ঞান ও প্রযুক্তি, সৃজনশীলতাসহ মোট সাতটি সূচকের মূল্যায়ন করা হয়।

বুধবার ডব্লিউআইপিও চলতি বছরের তালিকা প্রকাশ করেছে।

২০২০ ও ২০২১ সালে জিআইআই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬তম। ২০২২ সালে ১০২তম অবস্থানে উঠে আসে। কিন্তু বছর ঘুরতেই আবার তিন ধাপ পেছাল বাংলাদেশ।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের চেয়ে পেছনে রয়েছে। তবে নেপালের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছে।

ডব্লিউআইপিওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রদান ও দেশীয় শিল্পের বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে খারাপ করায় জিআইআই সূচকে আগের বছরের তুলনায় পিছিয়েছে বাংলাদেশ। তবে গত এক বছরে প্রতিষ্ঠান, মানবসম্পদ ও গবেষণা, অবকাঠামো, জ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সৃজনশীলতায় বাংলাদেশ কিছুটা ভালো করেছে।

এবার পরিশীলিত বাজার ও ব্যবসা সূচকে অবস্থান খারাপ হয়েছে। সে কারণে সার্বিকভাবে সূচকে অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের।

ডব্লিউআইপিও জানিয়েছে, পরিশীলিত বাজার সূচকে ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯২তম। চলতি বছর সেখান থেকে নেমে ১০০তম স্থানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ।

জিআইআই সূচকে আগের বছর নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান ছিল ২০তম। তবে চলতি বছর বিশ্বের ৩৭টি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে ২২তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ২০২৩ সালে উদ্ভাবনী জোগানের (ইনপুট) চেয়ে উদ্ভাবনী উৎপাদনের (আউটপুট) ক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ উদ্ভাবনী জোগানে গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়ে ১১৪তম স্থানে রয়েছে। আর উদ্ভাবনী উৎপাদনে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে ৮৯তম স্থানে পৌঁছেছে।

ডব্লিউআইপিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ভাবনী উৎপাদন সূচকের উন্নতি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হলেও উদ্ভাবনী জোগানেও ভালো করা প্রয়োজন। এ জন্য সরকারকে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো, শিক্ষা ও অবকাঠামোর মান উন্নত করা এবং বেসরকারি খাতে উদ্ভাবনের জন্য আরও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

বৈশ্বিক উদ্ভাবনী সূচকে চলতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুর।

এ বছর ২১টি উন্নয়নশীল দেশ উদ্ভাবনী সূচকে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে। এর মধ্যে অধিকাংশই আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ।

অন্যদিকে ভারত, মলদোভা ও ভিয়েতনাম—এই দেশগুলো টানা ১৩ বছর ধরে উদ্ভাবনী সূচকে বেশ ভালো করছে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও উজবেকিস্তান দ্বিতীয় বছরের মতো ও ব্রাজিল টানা তৃতীয়বারের মতো জিআইআই সূচকে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

চলতি বছর বৈশ্বিক উদ্ভাবনী সূচকে মোট ১৩২টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা প্রকাশের জন্য প্রধান সাতটি সূচক বিবেচনায় নেওয়া হয়।

এসব সূচকের মধ্যে আবার ৮০টির মতো উপসূচক রয়েছে। দেশগুলোর নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়িক নেতাদের উদ্ভাবনী দক্ষতাকে বাড়াতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছে ডব্লিউআইপিও।

মোবাইলে রিচার্জের টাকাও দেখাতে হবে আয়কর রিটার্নে পরবর্তী

মোবাইলে রিচার্জের টাকাও দেখাতে হবে আয়কর রিটার্নে

কমেন্ট