পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি

সমাবেশে টিইউসির সভাপতি মন্টু ঘোষ বলেন, “পৃথিবীতে আর কোনো দেশে শ্রমিকদের এত কম মজুরি দেওয়া হয় না। পোশাক রপ্তানিতে আমরা যদি শীর্ষে থাকতে পারি, তাহলে মজুরি প্রদানে আমরা কেন সবার তলায় অবস্থান করব?”

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি) দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত পোশাকশিল্প খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এই দাবি জানান।

তৈরি পোশাক শিল্প খাতের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে টিইউসি। এতে সোয়েটার, জ্যাকার্ডসহ পোশাকশিল্পের সব গ্রেডে শ্রমিকদের মজুরি একই হারে বৃদ্ধির দাবি জানান শ্রমিকনেতারা।

তারা বলেন, আগামী অক্টোবরের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি না মানলে নভেম্বরে আবারও ধর্মঘটে নামবেন শ্রমিকেরা।

সমাবেশে টিইউসির সভাপতি মন্টু ঘোষ বলেন, “পৃথিবীতে আর কোনো দেশে শ্রমিকদের এত কম মজুরি দেওয়া হয় না। পোশাক রপ্তানিতে আমরা যদি শীর্ষে থাকতে পারি, তাহলে মজুরি প্রদানে আমরা কেন সবার তলায় অবস্থান করব?”

তিনি সব শিল্প এলাকায় মজুরি বৃদ্ধির দাবির সমর্থনে শ্রমিকদের সমাবেশ করার আহ্বান জানান।

টিইউসির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম বলেন, গত কয়েক বছরে জিনিসপত্রের দাম ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি। তাই বর্তমান মজুরি দিয়ে পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জীবন ধারণ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।

গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে গঠিত মজুরি বোর্ডে মালিক ও শ্রমিকপক্ষ গত ছয় মাসে কোনো প্রস্তাব পেশ না করায় ক্ষোভ জানান সংগঠনটির উপদেষ্টা আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন।

২০১৮ সালে সর্বশেষ ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা করা হয়। একজন নতুন শ্রমিকের জন্য ৮,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যার মূল বেতন হিসেবে ৪,১০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া হিসেবে ২,০৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা হিসেবে ৬০০ টাকা, পরিবহন ভাতা হিসেবে ৩৫০ টাকা ও খাদ্য ভাতা হিসেবে ৯০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

সমাবেশে টিইউসির প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, সহসভাপতি জলি তালুকদার, জিয়াউল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা দুলাল সাহা, আকলিমা আক্তার ডলি, আবদুস সালাম বাবুল, শাহীন আলম, ময়না আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রাজধানীর কদমফুল ফোয়ারা, তোপখানা রোড, পল্টন মোড় হয়ে মুক্তি ভবনে গিয়ে শেষ হয়।

‘মুড়ি থেকে আচার-সবকিছু বড়রা তৈরি করলে ছোটরা কী করবে’ পরবর্তী

‘মুড়ি থেকে আচার-সবকিছু বড়রা তৈরি করলে ছোটরা কী করবে’

কমেন্ট