৪৪ টাকা কেজিতে সিদ্ধ চাল, ৪৩ টাকা করে আতপ চাল এবং ৩০ টাকা কেজিতে ধান কেনা হবে বলে রোববার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফাইল ছবি

চলতি মৌসুমে ৭ লাখ মেট্রিক টন আমন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এরমধ্যে ৪ লাখ টন সিদ্ধ ও এক লাখ টন আতপ চাল এবং ২ লাখ টন আমন ধান কেনা হবে।

৪৪ টাকা কেজিতে সিদ্ধ চাল, ৪৩ টাকা করে আতপ চাল এবং ৩০ টাকা কেজিতে ধান কেনা হবে বলে রোববার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী নভেম্বর মাসে এসব ধান-চাল কেনা হবে।

মন্ত্রী বলেন, “আমরা খুব ভালো অবস্থানে আছি, মজুদের অবস্থা ভালো আছে। সাড়ে ৪ লাখ টন গম পাইপলাইনে আছে। ব্যবসায়ীদের ওপর নজরদারি আছে। নতুন আইন অনুযায়ী আমরা মনিটরিং করছি।”

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত বোরো মৌসুমে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার কথা থাকলেও দুই লাখ টন সংগ্রহ করা গেছে। আর সাড়ে ১২ লাখ টন বোরো চাল কেনার কথা ছিল। তার থেকে দুই লাখ টন বেশি চাল কেনা হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “বর্তমানে সরকারি গুদামে খাদ্য শষ্য মজুতের পরিমাণ ১৭ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন। এ ছাড়াও প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গম সরবারাহ লাইনে আছে। এগুলো দেশে আসলে মজুতের পরিমাণ আরো বাড়বে।”

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আপদকালীন সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং চালের দাম গরিব মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।”

তিনি বলেন, “মরা কার্তিকেও বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি; বাজারও নিন্মমুখী। বাজারে অন্য পণ্যের দাম কিছুটা বাড়লেও চালের দাম বাড়েনি।”

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উপস্থিত ছিলেন।