এবারও হচ্ছে না আয়কর মেলা, কর অঞ্চলে সব সেবা
করদাতাদের সুবিধার্থে গতবারের মত এবারও নভেম্বর মাস জুড়ে সারা দেশের কর অঞ্চলগুলোতে সেবা দেওয়া হবে। ফাইল ছবি
টানা তৃতীয়বারের মত চলতি বছরও আয়কর মেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে করদাতাদের সহায়তা ও সেবার জন্য চালু করা এই মেলার পরিবর্তে দেশব্যাপী কর অঞ্চলগুলোতে সেবা দেওয়া হবে।
করদাতাদের সুবিধার্থে নভেম্বর মাস জুড়ে সারা দেশের কর অঞ্চলগুলোতে সেবা দেওয়া হবে।
এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) এম এ মু’মেন এআরএইচ ডট নিউজকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, কর অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি মাসব্যাপী কর সেবা দিতে সচিবালয়, ঢাকায় অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা সেনানিবাসে অস্থায়ীভাবে কর তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
এসব কেন্দ্রে আয়কর দাতারা কর সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য পাবেন পাবেন বলে জানান তিনি।
এজন্য এনবিআর ইতোমধ্যে কর অঞ্চলগুলোতে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, করমেলায় করদাতাদের যেভাবে সহযোগিতা ও সম্মান করা হতো কর অঞ্চলগুলোতেও সেসব সেবা দেওয়া হবে।
দেশের কর দিতে সক্ষম ব্যক্তিদের কর প্রদানে উৎসাহিত করতে সরকার ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর নভেম্বরে কর মেলার আয়োজন করে।
২০২০ সালে করোনা মহামারীর কারণে মেলার আয়োজন বন্ধ থাকে। দুই বছর পর সংক্রমণ কমে এলেও পরে তা শুরু হয়নি। ২০২২ সালেও মেলার বদলে এনবিআরের ৪০টি কর অঞ্চলগুলোতে সেবা দেওয়া হয়।
মেলা না হলেও বরাবরের মতো ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপন করা হবে। এরপর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠান করে জাতীয় ট্যাক্স কার্ড ও ঢাকার কর অঞ্চলগুলোর সেরা করদাতাদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।
পরিচালক মু’মেন বলেন, কর সেবার মাস হিসেবে দেশের সব কর অঞ্চলে করদাতাদের সেবা দিতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে। আয়কর মেলার আদলে কর অফিসে করদাতারা পাবেন ‘ওয়ানস্টপ’সেবা।
অপরদিকে কর দেওয়া যাবে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানির মাধ্যমে এবং যে কোনও ব্যাংকের ভিসা বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে।
এনবিআর থেকে কর অঞ্চলগুলোকে দেওয়া নির্দেশনায় প্রতিটি কর অঞ্চলে হেল্প ডেস্কের পাশাপাশি রিটার্ন গ্রহণ বুথ স্থাপন ও গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আয়কর বিবরণী দাখিলকারীদের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সেবা কেন্দ্রে ই-টিআইএন নিবন্ধন ও পুর্ননিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
প্রতিটি কর অঞ্চলের নিজস্ব ওয়েবসাইট তথ্যসহ হালনাগাদ করতে হবে। সেখানে আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন ফর্ম, পরিপত্র, রিটার্ন পূরণের নির্দেশিকা, ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করতে হবে।
নির্দেশনায় কর অঞ্চলগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। অন্যান্য মাধ্যমের পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।
কমেন্ট