বিনিয়োগ মেলা করবে ফরেন চেম্বার
৮ ও ৯ নভেম্বর রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে বিনিয়োগ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিষ্ঠার ছয় দশক পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো বা বিনিয়োগ মেলা আয়োজন করবে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।
মেলায় সংগঠনটির সদস্যপ্রতিষ্ঠানগুলো ৪০টি স্টলে তাদের নতুন উদ্ভাবন, পরিষেবা ও পণ্য প্রদর্শন করবে।
আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে এই বিনিয়োগ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন।
শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে এফআইসিসিআই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফরেন চেম্বারের সভাপতি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়, বিনিয়োগ মেলার আহ্বায়ক ও এফআইসিসিআই পরিচালক মাহবুব উর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী চেয়ারম্যান মহসিনা ইয়াসমিন, এফআইসিসিআইয়ের সহসভাপতি স্বপ্না ভৌমিক ও নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুল কবির।
বিনিয়োগ মেলা আয়োজনের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে থাকবে বিডা।
মেলা উদ্বোধনের পাশাপাশি এ দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বৃদ্ধিতে সহায়ক করব্যবস্থা নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন এবং এফআইসিসিআই সদস্যদের কড়চা (অবদান ও কার্যক্রম) বিষয়ে প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব টেকসই ভ্যালু চেইন ও বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে দুটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগ ও অর্থনীতিতে অবদান রাখায় কিছু প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে।
আয়োজন সম্পর্কে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বারের সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় জানান, “তিনটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমরা অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছি। এক. ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা; দুই. গত ৬০ বছরে এ দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অবদান ও কার্যক্রমকে তুলে ধরা; তিন. ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে পরিণত হতে বিনিয়োগ খাতে কী করণীয়, তা নিয়ে পর্যালোচনা করা।”
নাসের এজাজ বিজয় বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বিভিন্ন দেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ সীমিত হয়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগ মেলার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি একটি ইতিবাচক বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে।
বিনিয়োগ মেলার আহ্বায়ক ও এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব উর রহমান বলেন, “বর্তমানে সামগ্রিকভাবে কিছু অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দিকে তাকাতে চাই। এর অংশ হিসেবে মেলায় দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা ও খাতভিত্তিক বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরা হবে।”
“এফআইসিসিআইয়ের সদস্যপ্রতিষ্ঠানগুলো ৪০টি স্টলে তাদের নতুন উদ্ভাবন, পরিষেবা ও পণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নেবে। এ ছাড়া সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক, কূটনীতিক, উন্নয়ন অংশীদার, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, দেশীয় বিনিয়োগকারী ও অংশীজনেরা এতে অংশ নেবেন।”
১৯৬৩ সালে আগ্রাবাদ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নামে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে কার্যক্রম শুরু করে এফআইসিসিআই। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৭ সালে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নাম গ্রহণ করে সংগঠনটি।
বর্তমানে ৩৫টি দেশ থেকে দুই শতাধিক কোম্পানি এফআইসিসিআইয়ের সদস্য হিসেবে এ দেশের ২১টির বেশি খাতে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের ৯০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ আনার পাশাপাশি ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে তাদের সদস্যপ্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে।
কমেন্ট