রাজস্ব আদায়: ৩ মাসে ঘাটতি ৮ হাজার কোটি টাকা

রাজস্ব আদায়: ৩ মাসে ঘাটতি ৮ হাজার কোটি টাকা

প্রথম প্রান্তিকে ২৮ হাজার ৯৮২ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২৪ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশের বেশি।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৭৬ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড—এনবিআর।

এই অঙ্ক গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। তবে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা কম। ভ্যাট আদায়ে ১৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। 

গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

এনবিআরের সাময়িক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি অর্থবছরের তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৪ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। তবে রাজস্ব সংগ্রহ এর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছে। পুরো অর্থবছরে মোট ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সংস্থাটির।

প্রথম প্রান্তিকে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) খাত থেকে এসেছে ২৮ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২৪ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশের কিছুটা বেশি।

আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে এ সময়ে ২৪ হাজার ১২৮ কোটি টাকার রাজস্ব এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২২ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা। এ খাতে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

এ ছাড়া আয়কর ও ভ্রমণকর খাত থেকে তিন মাসে রাজস্ব এসেছে ২৩ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু টানেল, মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি তামাকজাত পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট আদায় কিছুটা বেড়েছে।

মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিও ভ্যাট আদায়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির বড় কারণ। রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে ভ্যাট সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবে চলতি অর্থবছরে করের পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর কথা রয়েছে।

শুধু আইএমএফের ঋণের শর্তের কারণে নয়, অর্থনীতির বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করের হার না বাড়িয়ে করযোগ্য মানুষ যারা এখনও কর দেন না, তাদের এর আওতায় আনার দিকে জোর দিতে হবে।

এলডিসি উত্তরণের পরও শুল্ক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ পরবর্তী

এলডিসি উত্তরণের পরও শুল্ক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

কমেন্ট