১২ কেজি এলপিজির দাম ১৪০০ টাকা ছাড়াল

১২ কেজি এলপিজির দাম ১৪০০ টাকা ছাড়াল

রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এলপিজির নতুন দরের ঘোষণা দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূরুল আমিন। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে।

এলপিজির দাম বাড়ছেই। ১২ কেজি এলপিজির দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা ছাড়িয়েছে।

দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১২ কেজিতে এবার ২৩ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর আগে নভেম্বরে ১৮ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।

নতুন এ দর রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কার্যকর হবে।

২৩ টাকা বাড়ানোর পর চলতি ডিসেম্বরের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর পড়বে ১ হাজার ৪০৪ টাকা। নভেম্বরে যা ছিল ১ হাজার ৩৮১ টাকা। এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালি রান্নার কাজে।

রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এলপিজির নতুন দরের ঘোষণা দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূরুল আমিন। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে।

তবে দেশের সব জায়গায় তা কার্যকর হতে দেখা যায় না; অনেক জায়গায় বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়।

বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবনমনের জন্য দেশের বাজারে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিইআরসি। গত মাসে ডলারের গড় দাম ছিল ১১৩ টাকা ৯২ পয়সা। চলতি মাসে ডলারের দাম ১১৬ টাকা ৩৯ পয়সা।

আমদানিকারক কোম্পানির ইনভয়েস মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।

২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।

বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি প্রায় ১১৭ টাকা ২ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১১৫ টাকা ৯ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।

তবে সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম বাড়ানো হয়নি। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সা, যা এত দিন ছিল ৬৩ টাকা ৩৬ পয়সা।

বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে পূর্ববর্তী

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে

সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পেল আরও ২টি, শীর্ষ ২০টির ১৮টিই বাংলাদেশের পরবর্তী

সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পেল আরও ২টি, শীর্ষ ২০টির ১৮টিই বাংলাদেশের

কমেন্ট

এই সংক্রান্ত আরও খবর