৩ মাসে ‘প্রবাস’ পেনশন স্কিমে যুক্ত হয়েছেন মাত্র ৯১ জন

৩ মাসে ‘প্রবাস’ পেনশন স্কিমে যুক্ত হয়েছেন মাত্র ৯১ জন

সব মিলিয়ে চার মাসে এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ১৬৬ জন। ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেনশনের স্কিমগুলোয় মোট চাঁদা জমা পড়েছে ২১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

‘সুখে ভরবে আগামী দিন, পেনশন এখন সর্বজনীন’ এ স্লোগানকে ধারণ করে প্রৌঢ় জীবনকে সুখে ভরাতে সরকারের নতুন কর্মসূচিতে সাড়া মিলছে না।

বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি বা স্কিম চালুর চার মাস পূর্ণ হয়েছে। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চার স্কিমে প্রথম মাসে প্রায় ১৩ হাজার জন অন্তর্ভুক্ত হলেও দ্বিতীয় মাসে এ কর্মসূচিতে যোগ দেন ১ হাজার ৬৬৯ জন। তৃতীয় মাসে অন্তর্ভুক্ত হন ১ হাজার ১৩৪ জন। সবশেষ চতুর্থ মাসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩১২ জন।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, সব মিলিয়ে চার মাসে এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ১৬৬ জন। ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেনশনের স্কিমগুলোয় মোট চাঁদা জমা পড়েছে ২১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিমের অবস্থা হতাশাজনক। এই স্ত্রিমে প্রথম এক মাসে ৩৯৮ জন প্রবাসী অন্তর্ভুক্ত হয়ে চাঁদা পরিশোধ করেন। কিন্তু এ হারও পরে বজায় থাকেনি; ফলে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরের তিন মাসে এই স্কিমে যুক্ত হয়েছেন মাত্র ৯১ জন প্রবাসী। সব মিলিয়ে চার মাসে মাত্র ৪৮৯ জন প্রবাসী পেনশন স্কিমে যুক্ত হয়েছেন।

সরকার আশা করেছিল সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি বা স্কিমে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারি দলের পক্ষে ভোট টানার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সে কারণে তড়িঘড়ি করে কর্মসূচিটি চালু করে সরকার। কিন্তু তেমনটি দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে এ কর্মসূচিতে জনগণের আগ্রহ কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশাবাদী যে খুব শিগগির গ্রাহকদের ভালো সাড়া মিলবে। কারণ, সরকার এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এবং আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই তা সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। প্রথম দিন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে ৮ হাজার মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করলেও পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে চাঁদা দিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০০ জন।

চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন স্কিম রয়েছে। এগুলোর নাম হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাস। বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাস’এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’।

চালুর পরে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী এই পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত হয়ে বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাবেন বলে আশা করেছিলেন পেনশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, সে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না।

এই অবস্থায় পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা বলছেন, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পরে স্কিমগুলোতে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসীদের আগ্রহ বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসব পদক্ষেপের মধ্যে থাকতে পারে– সুদহার পর্যালোচনা, ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুফল সম্পর্কে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা এবং দেশের করপোরেট হাউজগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে উৎসাহিত করার উদ্যোগ।

আশাবাদী কর্তৃপক্ষ

চাঁদা দিয়ে পেনশন-ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারেন ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ। দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষ পেনশন–ব্যবস্থার আওতায় আসবেন—এমন প্রত্যাশা সরকারের রয়েছে। বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তাকাঠামোর আওতায় আনা এবং নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই পেনশন স্কিম চালু করা হয়।

দেশের বিপুলসংখ্যক নাগরিক পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন—সরকারের এমন প্রত্যাশা থাকলেও প্রথম চার মাস পর্যন্ত মানুষের সাড়া খুবই কম। তবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা আশা করছেন, মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা শনিবার এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “দেশ ও দেশের বাইরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম আরও জনপ্রিয় করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ানো হবে।”

তিনি বলেন, “শুরুতে সোনালী ব্যাংক থাকলেও এখন অগ্রণী ব্যাংক এবং বেসরকারি সিটি ব্যাংকও পেনশন স্কিমের সেবা দেওয়ার কাজ করছে। অন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গেও এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে। ফলে স্কিম নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী।”

সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের সব মানুষকে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে সরকারের সর্বজনীন এই কর্মসূচি চালু করে সরকার।

চার শ্রেণির নাগরিককে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তাকাঠামোর আওতায় আনতে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত এই কর্মসূচি। 

পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন চাঁদাদাতা। তবে চাঁদাদাতা মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন চাঁদাদাতার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত।  

অর্থাৎ কোনো চাঁদাদাতা যদি ৬০ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে তার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ বছর তার নমিনি পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, পেনশন স্কিমের মত এত বড় কর্মযজ্ঞ চালু করার আগে অন্তত পাঁচ থেকে সাত বছর প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কারা এ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, তার ওপর কোনো জরিপও হয়নি। এমনকি উদ্বোধনের পরও খুব একটা প্রচার নেই।

একই সঙ্গে এ কর্মসূচি নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। এসব প্রশ্নের উত্তর সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে দেওয়া হয় না। সার্বিকভাবে পরিষ্কর ধারণা জনগণকে দেওয়া না হলে এ উদ্যোগ সফলতা পাবে না।

তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচন সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে মানুষের আগ্রহের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এ কার্যক্রম যেহেতু আইন দ্বারা সুরক্ষিত, তাই টাকা খোয়া যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। স্কিম কোনো কারণে বন্ধ হলে সুদসহ অর্থ ফেরত পাবে জনগণ। তার পরও মানুষের মনে সন্দেহ হতেই পারে।”

স্কিমের সুদহার কম

পেনশন স্কিমে আগ্রহ কমার ব্যাখ্যা দিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তদের জন্য ৮ শতাংশ হারে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে। বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক বর্তমানে মেয়াদি আমানতের ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য সেভিংস ইন্সট্রুমেন্টে বিনিয়োগ করলে উচ্চ সুদহারের পাশাপাশি মূল আমানতের অর্থও ফেরত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

একজন ব্যক্তি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত মাসিক কিস্তি জমা দেওয়ার পরে মাসিক পেনশন পাওয়া শুরু করবে। বেসরকারি খাত ও অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের এতো দীর্ঘ সময় ধরে কিস্তি দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয় থাকবে কি-না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

এবিষয়ে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, "সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় স্কিমগুলোতে যে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটিও ফ্লেক্সিবল (পরিবর্তনযোগ্য)। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সময় সময় এটি পুনঃনির্ধারণ করবে। নির্বাচনের পরে এক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।”

প্রবাসীদের আকৃষ্ট করার উদ্যোগ

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে গত ১৫ নভেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে একটি সভা করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

সভায় অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেছেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশনের গতি 'অত্যন্ত মন্থর'। বিশেষত, 'প্রবাস' স্কিম এর সাবস্ক্রিপশন একেবারেই সীমিত।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান সভায় বলেছেন, স্কিমগুলোতে যতোবেশি জনগণ অন্তর্ভূক্ত হবে, সর্বজনীন পেনশনের উদ্দেশ্য ততোবেশি ফলপ্রসূ হবে। প্রবাসীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে নিবন্ধন সহজ করাসহ তারা যাতে সহজে চাঁদা পরিশোধ করতে পারেন, সেজন্য অনলাইন ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করার পরামর্শ দেন তিনি।

রেমিটেন্স আনাসহ প্রবাসীদের পেনশন স্কিমে চাঁদা সংগ্রহ বাড়াতে বিদেশে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব আইটি অবকাঠামো দ্রুত উন্নত করতে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেন তিনি।

কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা

ওই সভায় প্রবাসীদের সর্বজনীন পেনশনে আকৃষ্ট করার পাশাপাশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

দেশের করপোরেট হাউজগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সাধারণত ব্যাংকের মাধ্যমেই পরিশোধ করা হয়ে থাকে। ব্যাংকগুলো যেসব করপোরেট হাউজের পে-রোল সেবা দিয়ে থাকে, সেসব কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার 'প্রগতি' স্কিমে অন্তর্ভূক্তির জন্য প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চালাতে ব্যাংকের সিইওদের অনুরোধ করেছে অর্থ বিভাগ।

ব্যাংকারদের প্রতিশ্রুতি

সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, তার ব্যাংকের নিজস্ব পেমেন্ট গেটওয়ে এবং ই-ওয়ালেট রয়েছে; বিমা সাবস্ক্রাইবার আকৃষ্ট করতে এটি কাজে লাগানো হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে সোনালী ব্যাংকের এজেন্ট আছে, তাদের কাজে লাগিয়ে প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানো ও সর্বজনীন পেনশনের 'প্রবাস' স্কিমে অন্তর্ভূক্তির জন্য সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে তারা ভূমিকা রাখবেন।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন সব ব্যাংকের শাখাগুলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এসব শাখায় হিসাব খোলার সময় ব্যাংকের গ্রাহকদের সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, বিদেশগামীদের তার ব্যাংক তিন দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে তাদেরকে 'প্রবাস' স্কিমে যুক্ত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হবে।

এছাড়া যেসব কর্মী প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের ঋণ দেওয়ার সময় প্রবাস স্কিমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে রাখা যেতে পারে বলে প্রস্তাব দেন তিনি।

বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প: তৃতীয় ধাপে ৫২ কোটি ডলার দেবে জাপান পরবর্তী

বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প: তৃতীয় ধাপে ৫২ কোটি ডলার দেবে জাপান

কমেন্ট