এলপিজির দাম আরও বাড়ল

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারির জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে দাম ছিল ১ হাজার ৪০৪ টাকা।

এলপিজির দাম বাড়ছেই। দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১২ কেজিতে এবার ২৯ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর আগের মাসে এটি ২৩ টাকা বেড়েছিল।

ঘোষিত নতুন দর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কার্যকর হবে। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারির জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে দাম ছিল ১ হাজার ৪০৪ টাকা।

এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালির কাজে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর জানানো হয়। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে সব জায়গায় কার্যকর হতে দেখা যায় না।

বিইআরসির চেয়ারম্যান নূরুল আমিন নতুন এই দর ঘোষণা করেন।

বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবনমনের জন্য দেশের বাজারে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির ইনভয়েস মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।

২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।

বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি প্রায় ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১১৭ টাকা ২ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।

সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম বাড়ানো হয়নি। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৬৫ টাকা ৭৬ পয়সা, যা এত দিন ছিল ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সা।

বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।

২০৩৮ সালে ২০তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ পরবর্তী

২০৩৮ সালে ২০তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ

কমেন্ট