পূর্ণ মন্ত্রী নেই বাণিজ্যে, প্রতিমন্ত্রী টিটু
আহসানুল ইসলাম (টিটু)
শেখ হাসিনা তার টানা চতুর্থ মেয়াদের মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি; প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া বিদায়ী মন্ত্রিসভার কয়েকজনকে আগের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেই রাখা হয়েছে। আবার আগের মন্ত্রিসভার কয়েকজনকে নতুন মন্ত্রিসভায় রাখা হলেও মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে স্থান পাওয়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আহসানুল ইসলাম (টিটু) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগ থেকে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদেও তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন।
বিদায়ী মন্ত্রিসভায় বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন টিপু মুনশি।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বুধবার শপথ নেন নতুন সংসদ সদস্যরা। শপথ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন।
সংসদ নেতা হওয়ার পর বুধবার বিকেলে সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি শেখ হাসিনাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী গঠিত মন্ত্রিসভায় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপর মন্ত্রিসভার ওই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার রাতে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তালিকায় থাকা ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আহসানুল ইসলাম টিটু একজন পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৩-১৪ মেয়াদে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএমই) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত টিটু সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
টিটু শিক্ষাজীবন শেষ করে ব্যবসাতে যুক্ত হন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যপদ পান। ১৯৯৫ সালে তিনি মনা ফিন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি এন্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
টিটুর পিতা প্রায়ত মকবুল হোসেন ঢাকা-৯ আসন থেকে ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
কমেন্ট