‘বাংলাদেশ কখনও দেউলিয়া হবে না’
সোমবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) কান্ট্রি ডিরেক্টর আরন্ড হ্যামিলাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ কখনও দেউলিয়া হবে না বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনীতিতে সংকট থাকলেও সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আমরা সঠিক পথেই আছি। এ পথে চললে বাংলাদেশ কখনও দেউলিয়া হবে না।”
সোমবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) কান্ট্রি ডিরেক্টর আরন্ড হ্যামিলাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর রাতারাতি দেশের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, সেটা ভাবা ঠিক নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “সে জন্য কিছুটা সময় লাগবে।”
আরন্ড হ্যামিলাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশে সাতটি প্রকল্পে ইফাদের ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রকল্প চলছে। পাশাপাশি দেশের প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “দেশের কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে সমস্যা আছে। কৃষক পর্যায় থেকে বাজার পর্যন্ত আসতে কয়েক হাত ঘুরতে হয় একটি পণ্যকে। ফলে ফড়িয়া শ্রেণির সৃষ্টি হয়। সরকার এই ধারা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। ইফাদ এ ক্ষেত্রে আমাদের সহায়তা করছে।
“তবে শুধু ইফাদ নয়, দেশের আরও অনেক উন্নয়ন অংশীদার আছে, তাদের সঙ্গেও আমাদের কাজ হচ্ছে। উন্নয়ন অংশীদারেরা বিভিন্ন ধরনের চিন্তা নিয়ে আসে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর আমরা মিলেমিশে প্রকল্প প্রণয়ন করি।”
এর আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ফ্রান্স সরকারের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন ক্রোজা। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরিও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
কমেন্ট