সর্বজনীন পেনশন: আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও যুক্ত করতে নির্দেশ

সর্বজনীন পেনশন: আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও যুক্ত করতে নির্দেশ

সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও আলোচিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে বিশেষ করে বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করার জন্য সরকার ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ এবং ১৩ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩ প্রণয়ন করে।

“সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তি এবং বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিকের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে।”

দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্য পূরণে ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর ৪১(২) (ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের এই স্কিমে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) একই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সরকারের চালু করা সর্বজনীন পেনশনে চার ধরনের স্কিম বা কর্মসূচি রয়েছে। এগুলো হলো, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’।

পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে ইউপেনশন ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা পাসপোর্ট নম্বর, একটি সচল মুঠোফোন নম্বর, ব্যাংক হিসাব নম্বর, নমিনির এনআইডি ইত্যাদি তথ্য লাগে।

চাঁদা দিয়ে পেনশন-ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারেন ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ। দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষ পেনশনব্যবস্থার আওতায় আসবেন, এমন প্রত্যাশা সরকারের রয়েছে।

বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনা এবং নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যেই পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছে বলে শুরু থেকেই বলে আসছে পেনশন কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শুরুর দিকে শুধু সোনালী ব্যাংক ছিল স্কিমে নিবন্ধনের সহায়তাকারী। পরে অগ্রণী ব্যাংককেও এ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সিটি ও ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে পেনশন কর্তৃপক্ষের আলোচনা হচ্ছে।

২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন করে সরকার। একই বছরের ১৩ আগস্ট করা হয় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা।

সেই বিধিমালার বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই তা সবার জন্য উন্মুক্ত।

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত পরবর্তী

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত

কমেন্ট