ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে বাগযুদ্ধে রাজনীতিকরা, গা দিচ্ছেন না ব্যবসায়ী নেতারা

ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে বাগযুদ্ধে রাজনীতিকরা, গা দিচ্ছেন না ব্যবসায়ী নেতারা

বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য বেশি হয়ে থাকে। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের মোট আমদানির ১৮ শতাংশের বেশি আসে পাশের দেশ ভারত থেকে। ভারত হলো বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানি উৎস। শীর্ষে আছে চীন। সেখান থেকে মোট আমদানির ২৫ শতাংশ আসে।

বাংলাদেশের আমদানি করা ভারতীয় পণ্যের তালিকায় শীর্ষে আছে তুলা। মোট আমদানি খরচের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হয় তুলা আমদানিতে। এই তুলা থেকে উৎপাদিত পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা আয় করে থাকে। এরপর আছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য; রয়েছে রেলের বগি, ইঞ্জিনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় পণ্য বর্জনের একটি প্রচারণা বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমের বাইরে গিয়ে এখন রাজনৈতিক চেহারা পেয়েছে। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ক্যাম্পেইন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। গত কিছুদিন ধরে সুনির্দিষ্টভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে সামাজিক মাধ্যমের অনেক ব্যবহারকারী প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে বেশ কিছু গ্রুপও খোলা হয়েছে, যেসব গ্রুপে হাজার হাজার মানুষ সদস্য হয়েছেন।

এখন সরকারি দল আওয়ামীলীগ ও রাজনীতির মাঠের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির নেতারা বাকযুদ্ধে নেমেছেন; পক্ষে-বিপক্ষে বক্তৃতা দিচ্ছেন। বুধবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমার প্রশ্ন, যে বিএনপি নেতারা বলছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? তাদের বউদের কাছ থেকে সেই শাড়িগুলো এনে কেন পুড়িয়ে দিচ্ছেন না।”

ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি।

তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনে তারা যে সংহতি জানিয়েছেন, তা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে। গত রবিবার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, “একটি আওয়াজ বা স্লোগান আজ সব মহলে সমাদৃত, সেটি হলো ভারতের পণ্য বর্জন। এ দেশের মানুষ দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, অপমান, লাঞ্ছনা, ক্ষোভ থেকে এটি করছেন। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিতে পারে। কিন্তু সব মহলে, সব জনগণের মধ্যে এটি আজ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সুতরাং ভারতীয় পণ্য বর্জনে তারা যে সংহতি জানিয়েছেন, তা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে।”

বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের মতো আহবান নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় এ ধরনের আহবান জানাতে দেখা গেছে। কারণ হিসেবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কথা বলে থাকেন এই বিরোধীরা।

তবে গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এ ধরনের আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের একটি অংশ ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করেন। এরকম কোন কোন গ্রুপে লক্ষ্যাধিক সদস্য থাকতেও দেখা গেছে।

ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঢাকার অলি-গলিতে এক তরুণ হ্যান্ডমাইক হাতে ভারতের পণ্য বর্জনের প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেই যুবক গণঅধিকার পরিষদ নামে একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা যায়। সামাজিক মাধ্যমে এই ধরনের কন্টেন্টগুলোতে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ও ‘বয়কটইন্ডিয়ানপ্রোডাক্টস’ হ্যাশট্যাগের ব্যবহার লক্ষ করা যায়।

গণঅধিকার পরিষদ ও এবি পার্টির মতো কয়েকটি দলের নেতা-কর্মীরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে নানাভাবে ভারত-বিরোধী বক্তব্য দিয়ে আসছেন।

সর্বশেষ বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাকে এই ক্যাম্পেইনের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গত রবিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে “বাজারকে অস্থিতিশীল করে পণ্যের দাম বাড়ানো।”

তবে ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাচ্ছেন না ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলেছেন, এটা অহেতুক বিতর্ক। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে কোনো দেশের পণ্য বর্জনের আলোচনা আসাটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।

দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পমাল্কিদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “আমরা এ বিষয়টি নিয়ে মোটেই ভাবছি না। এ ধরনের ক্যাম্পেইন পোশাক খাতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।”

তিনি বলেন, “আমরা আমাদের পোশাক খাতের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সিংহভাগ আমদানি করি ভারত থেকে। কে কি বললো, কে কোন আহ্বান বা ক্যাম্পেইন করলো, সেটা দেখার সময় আমাদের নেই। যেখান থেকে সহজেই আমরা কাঁচামাল পাবো, সেখান থেকেই আনবো।”

“এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ভারতে আমাদের রপ্তানি বাড়ানো। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা ভারতে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করেছিলাম। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সেটা কমে গেছে। ভারতে রপ্তানি কিভাবে বাড়ানো যায়, সেদিকেই আমরা এখন বেশি নজর দিচ্ছি।”

আরেক ব্যবসায়ী নেতা ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি দেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, “ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য বেশি আমদানি করা হয়। কারণ যেসব পণ্য ভারত থেকে আমদানি করা হয়, সেগুলো অন্য দেশ থেকে আনতে গেলে খরচ ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে। ১৪ বিলিয়ন ডলারের ইমপোর্টের ব্যয় তখন হয়তো গিয়ে দাঁড়াবে ২০ বিলিয়ন ডলার। এই ৬ বিলিয়ন ডলার দেশের ক্ষতি হবে।”

তিনি জানান, ভারত থেকে পুরোপুরি প্রস্তুতকৃত পণ্যের তুলনায় কাঁচামাল বেশি আমদানি বেশি হয়।

“অন্য দেশের তুলনায় কম সময়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করা সহজ হয়। সড়ক পথেআনা যায় বলে পরিবহন খরচও কম হয়। এই কারণে পেঁয়াজ, মরিচ বা চালের মতো পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল অন্য দেশে পাওয়া গেলেও আমদানিকারকদের প্রথম পছন্দ ভারত।”

“ভারতের কাঁচামালের জন্য আজকে এলসি খুললে কালকের ট্রাকে পণ্যটা ঢুকে যায়। পচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রে সময় গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য আগে বাজারে ছাড়া গেলে ব্যবসাও ভালো হয়। কিন্তু, অন্য কোনো দেশ থেকে আমদানি করতে গেলে দীর্ঘসূত্রতায় পড়তে হয়। একটু দূরের কোনো দেশ থেকে আনতে গেলে একটা এলসি খুলে ১৫ দিন বসে থাকতে হয়। ব্যবসায় ঝুঁকি বাড়ে তখন।”

ফলে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই ক্যাম্পেইনের কোনো প্রভাব দেখতে পাচ্ছেন না এই ব্যবসায়ী নেতা।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গবেষক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, কোন 'ইস্যু' থাকলে পণ্য বর্জন করে নয়, বরং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক ‘চ্যালেঞ্জিং ইস্যু’ আছে। অনেকেরই হয়তো বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে । সেটা অবশ্যই অ্যাড্রেস করাও প্রয়োজন।”

“কিন্তু সেটা কি পণ্য বর্জন করে হবে নাকি বক্তব্য তুলে ধরে দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কার্যকর হবে সেটা ভাববার বিষয়। অর্থনীতিকে দুর্বল করে কিছু করলে সেটা শেষের বিচারে ক্ষতিকর হবে।”

আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে কয়েক গুণ

গত এক দশকে বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি তিন গুণ বাড়িয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৪৭৪ কোটি (৪.৭৪ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছিল। এর পরের ১০ বছরে আমদানি বেড়েই চলেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এসে ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৬৯ কোটি (১৩.৬৯ বিলিয়ন) ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানি বিল পরিশোধের চিত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে। অবশ্য পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি খানিকটা কমে ১ হাজার ৬৩ কোটি (১০.৬৩ বিলিয়ন) ডলার হয়েছে।

ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কৃচ্ছসাধনসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্য পণ্য আমদদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সে কারণে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের সার্বিক আমদাসি ১৬ শতাংশের মতো কমেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মোট আমদানির ১৮ শতাংশের বেশি আসে ভারত থেকে। ভারত হলো বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানি উৎস। শীর্ষে আছে চীন। সেখান থেকে মোট আমদানির ২৫ শতাংশ আসে।

বাংলাদেশের আমদানি করা ভারতীয় পণ্যের তালিকায় শীর্ষে আছে তুলা। মোট আমদানি খরচের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হয় তুলা আমদানিতে। এরপর আছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য; রয়েছে রেলের বগি, ইঞ্জিনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ।

তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ভারত থেকে যত মূল্যের পণ্য আমদানি হয়, রপ্তানির পরিমাণ তার সাত ভাগের এক ভাগ।

গত কয়েক বছরে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে বলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশি পণ্য ও সেবার রপ্তানি গন্তব্যের তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ১২তম। ওই বছর ভারতে ৮৭ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি হয়। পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের অবস্থান হয়েছে সপ্তম। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৯৯ কোটি ডলারের রপ্তানি হয়েছে ভারতে।

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাশের দেশ ভারতে ২১৩ কোটি (২.১৩ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকরা। যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই ভারতের বাজারে পণ্য রপ্তানি থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় হয়নি।

এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতেই, ১১ জুলাই থেকে শুরু হয় বহুল প্রতিক্ষিত এই লেনদেন।

সবাই আশা করেছিলেন ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু হলে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশটিতে রপ্তানি আরও বেড়ে যাবে। কিন্তু তা না বেড়ে উল্টো কমছে।

ইপিবির সবশেষ তথ্যে দেখা, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে অর্থাৎ জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ভারতের বাজারে ১২৭ কোটি ৩৯ লাখ (১.২৭ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ কম।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে ১৫২ কোটি ৭৪ লাখ (১.৫৩ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।

ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ভারতের তুলনায় অনেক ছোট অর্থনীতির দেশ হলেও সেখান থেকে বিপুল আমদানি করে। মূলত ভৌগোলিক নৈকট্যের কারণে ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি এতটা বেশি। এতে সময় ও খরচ দুটোই কম লাগে। তবে ভারত এখন বাংলাদেশের বৃহত্তম আমদানি উৎস নয়, সেই জায়গা এখন চীনের।

ভারতের পণ্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, চীন, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি।

বাংলাদেশ ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে, গত কয়েক বছরে তাতে বড় পরিবর্তন এসেছে। শুরুর দিকে বাংলাদেশ ভারত থেকে মূলত খাদ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করত। বর্তমান প্রবণতা হলো, কাঁচামাল ও শিল্পায়নে প্রয়োজনীয় মূলধনি যন্ত্রের মতো পণ্য আমদানি করা।

এর অর্থ হলো ভারত থেকে বাংলাদেশ যা আমদানি করছে, তার বড় অংশ রপ্তানি খাতে কাঁচামাল হিসেবে কিংবা যন্ত্রপাতি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। অর্থাৎ ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য দেশের রপ্তানির কাঁচামাল জোগাচ্ছে।

রাজস্বে ১৬% প্রবৃদ্ধি, ভোক্তার ওপর বাড়তি চাপ পরবর্তী

রাজস্বে ১৬% প্রবৃদ্ধি, ভোক্তার ওপর বাড়তি চাপ

কমেন্ট