নিলামে ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক

নিলামে ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক

সর্বশেষ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২২ কেজি সোনা নিলামে বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিভিন্ন সময়ে আটক করা ২৫ কেজি ২৬৩ গ্রাম সোনা বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার নিলামের মাধ্যমে এ স্বর্ণ কিনে নেয় ভেনাস জুয়েলার্স।

প্রায় ১৬ বছর পর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা এই সোনা ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানিয়েছেন।

এআরএইচ ডট নিউজকে তিনি বলেন, “স্বর্ণ নিলামে তুলতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। নিলামের পর ২৫ কেজি ২৬৩ গ্রাম বিভিন্ন মানের সোনা আজ (বুধবার) হস্তান্তর করা হয়েছে।”

বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সস্থার অভিযানে আটক সোনা থেকে এই পরিমাণ সোনা বিক্রি করা হয়। সোনা বিক্রি করতে ২০২২ সালের নভেম্বর দেশের চারটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, ২৫ দশমিক ৩১ কেজি সোনা বিক্রি হবে।

কিন্তু সে সময় ‘উপযুক্ত’ ক্রেতা না পাওয়ায় দ্বিতীয়বার নিলাম ডাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় বারের নিলামে অংশ নেয় ভেনাস জুয়েলার্স।

বর্তমানে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি গ্রাম সোনা ৯ হাজার ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম সোনার দাম ৯ হাজার ৩৩৫ টাকা। ১৮ ক্যারেটের দাম ৮ হাজার টাকা।

আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম সোনা বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৬৭০ টাকা।

অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন বন্দরে আনার সময়ে এবং আইন-শৃঙ্কলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে জব্দ ও আটক স্বর্ণ যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে। এছাড়া পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া সোনাও সেখানে জমা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, তা আদালতের মাধ্যমে জব্দ করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও শুল্ক অধিদপ্তরসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আদালতের নির্দেশে তা সংরক্ষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই সোনা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে বিশেষ ভল্ট রয়েছে। যেসব সংস্থার মাধ্যমে সোনা আটক বা জব্দ হয়, তাদের উপস্থিতিতে সেই সোনা ভল্টে রাখা হয়। জব্দ তালিকার একটি স্বাক্ষরিত অনুলিপি ওই সংস্থার কাছেও সংরক্ষণ করা হয়।

রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর ও অদাবিকৃত স্বর্ণ নিলামে বিক্রির জন্য আদালতের অনুমতির পর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয় সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থা।

এসব প্রক্রিয়া শেষ করার পর নিলাম দরপত্র ডাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোনা বিক্রির পর প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়।

সর্বশেষ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২২ কেজি সোনা নিলামে বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

ভ্যাটে আর ছাড় নয়, বাড়ছে মেট্রোরেলের ভাড়া পূর্ববর্তী

ভ্যাটে আর ছাড় নয়, বাড়ছে মেট্রোরেলের ভাড়া

মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক পরবর্তী

মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক

কমেন্ট