গোপালগঞ্জ-মাদারীপুরে কৃষির উন্নয়নে ৭৮১ কোটি টাকা দেবে এডিবি
শনিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবির মধ্যে এ–সংক্রান্ত চুক্তি সই হয় বলে এডবি ঢাকা অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের দুই জেলার কৃষি খাতের উন্নয়নে ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ দেবে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। জেলা দুটি হচ্ছে—গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর।
বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১০ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৭৮১ কোটি টাকা।
শনিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবির মধ্যে এ–সংক্রান্ত চুক্তি সই হয় বলে এডবি ঢাকা অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে সই করেন ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী ও এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ইআরডি সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে এডিবির এই ঋণের অর্থ খরচ করা হবে। এই অর্থ ব্যবহার করে ওই দুই জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ব্যবস্থাপনা এবং পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নতি করা হবে। এই প্রকল্প কৃষি খাতকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে এডিবি।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা, সেচ ব্যবস্থাপনা ও লবণাক্ত পানির প্রকোপ কমানো—এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ দেশের মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে এডিবি। নতুন এই প্রকল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া জীবনমানের উন্নতিও হবে, বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর উপকার হবে।
এর আগে গত ১৩ মার্চ ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত এডিবির বোর্ড সভায় এই ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিবির অর্থায়ন করা এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৬ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতা–সহিষ্ণু বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নত হওয়া এবং লবণাক্ত পানির প্রকোপ কমবে। এই প্রকল্পের আওতায় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনার পাশাপাশি প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
এডিবির জ্যেষ্ঠ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ পুষ্কর শ্রীবাস্তব বলেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও উৎপাদনশীলতার প্রবৃদ্ধির জন্য বাড়তি বিনিয়োগ করছে এডিবি। এর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আয় বাড়বে এবং নারী ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর টেকসই জীবনযাত্রার মান বাড়াতে ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখবে।
এডিবি বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বিবেচনায় গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার দিকে যাচ্ছে। যদি কোনো উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তবে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমতে পারে।
কমেন্ট