৪৫ টাকা কেজি দরে চাল কিনবে সরকার
৪৫ টাকা কেজি দরে চাল কিনবে সরকার। ধান কিনবে ৩২ টাকায়।
গতবারের চেয়ে কেজিপ্রতি ধানের দর দুই টাকা এবং চালে এক টাকা বাড়িয়ে এবারের বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বোরো মৌসুমে এবার ৫ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন গম কিনবে সরকার।
“প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৪ টাকা।”
আগামী ৭ মে থেকে ধান কেনা শুরু হবে এবং ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বেশি ধান কেনা হবে হাওর থেকে।
কৃষক যাতে তার উৎপাদনের ন্যায্যমূল্য পান, সে জন্য এবার ধান কেনা কেজিতে দুই টাকা বাড়ানো হয়েছে এবং এতে কৃষক উৎপাদনে উৎসাহিত হবেন বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
২০২৩ সালে সরকারের ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে এখন খাদ্য মজুত আছে ১২ লাখ টন। কোনো ঘাটতি নেই।
তবে কেন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল সরকার—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সরকারের কিছু গোপন পলিসি (নীতি) থাকে, তা বলা যাবে না।”
ধান কেনার সঙ্গে প্রশাসনের সবাইকে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা বছরে দুবার অনুষ্ঠিত হয়। এ কমিটির সভাপতি খাদ্যমন্ত্রী। কমিটিতে মোট মন্ত্রী আছেন ৮ জন, সচিব আছেন ১০ জন।
খাদ্যশস্যের উৎপাদন, চাহিদা, মজুত এসব বিষয়ে আলোচনা হয়ে থাকে সভায়। এ ছাড়া খাদ্য-সম্পর্কিত বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বেগম রোকেয়া সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বস্তায় মূল্য উল্লেখ করে বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের আর সময় দেয়া হবে না, প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ করা হবে। সরকারি গুদামগুলোতে এখন ১২ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি গুদামগুলোতে সব মিলিয়ে ১১ লাখ ৯১ হাজার ৫৬৮ টন খাদ্য মজুত ছিল। এর মধ্যে চাল ৮ লাখ ৫১ হাজার ৫৬৯ টন, গম ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৭ টন ও ধান ৩ লাখ টন।
কমেন্ট