আইএমএফের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন, ছাড় দু-এক দিনের মধ্যেই
এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের ৫০ কোটি ডলার, এডিবি’র ২৫ কোটি, এআইআইবি’র ৪০ কোটি এবং কোরিয়া সরকারের বাজেট সহায়তার ১০ কোটি ডলার ঋণ কয়েক দিনের মধ্যেই রিজার্ভে যোগ হবে। সে হিসাবে চলতি জুন মাসের মধ্যেই বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি (৪.৭ বিলিয়ন) ঋণের তৃতীয় কিস্তি ১১৫ কোটি (১.১৫ বিলিয়ন) ডলার অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় পর্ষদের সভায় এই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানিয়েছেন।
রাতে এআরএইচ ডট নিউজকে তিনি বলেন, “আইএমএফের বোর্ড সভায় আমাদের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই এই অর্থ আমাদের রিজার্ভে যোগ হবে। এর ফলে আমাদের রিজার্ভ বেশ খানিকটা বেড়ে যাবে।”
এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের ৫০ কোটি ডলার, এডিবি’র ২৫ কোটি, এআইআইবি’র ৪০ কোটি এবং কোরিয়া সরকারের বাজেট সহায়তার ১০ কোটি ডলার ঋণ কয়েক দিনের মধ্যেই রিজার্ভে যোগ হবে। সে হিসাবে চলতি জুন মাসের মধ্যেই বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে বলে জানান মেজবাউল হক।
একই কথা বলেছেন দীর্ঘদিন আইএমএফের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন পালন করে আসা গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
এআরএইচ ডট নিউজকে তিনি বলেন, “আইএমএফ এবং অন্য চার দাতা সংস্থার ঋণে রিজার্ভ প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলারের মতো বাড়বে। এতে রিজার্ভ নিয়ে যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল, তা অনেকটা কেটে যাবে। সরকারও অনেকটা স্বস্তি বোধ করবে। সংকট কাটাতে সহায়তা করবে।”
এবারের কিস্তিতে ঋণের পরিমাণ আগেই দুই কিস্তির চেয়ে দ্বিগুণ। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ।
প্রথমবার অনুমোদনের দুই দিনের মধ্যে ছাড় হয় ওই অর্থ। দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় হয় চার দিনের মাথায়।
অনেক দেনবার এবং সংস্কার কাজ চালিয়ে যাওয়ার শর্তে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয় সংস্থাটি।
এরপর দফায় দফায় বৈঠক ও সফর শেষে সংস্কার কাজ পর্যবেক্ষণের পর প্রতিটি কিস্তির অর্থ ছাড় করছে আইএমএফ।
এবার তৃতীয় কিস্তিতে মোট ইসিএফ (এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি) ও ইইএফ (এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি) এর অধীনে ৯৩ কোটি ২০ লাখ ডলার (আইএমএফ মুদ্রা এসডিআর ৭০ কোটি ৪৭ লাখ) এবং আরএসএফ (রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি) এর অধীনে ২২ কোটি ডলার (এসডিআর ১৬ কোটি ৬৮ লাখ) পাবে বাংলাদেশ।
তিন খাত মিলিয়ে মোট ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড় করা হবে এ কিস্তিতে।
তবে চুক্তির শুরুতে যে পরিকল্পনা ছিল, তাতে এবার বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ছিল ৬৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর বদলে ইসিএফ ও ইইএফ এর বরাদ্দ দ্বিগুণ করে ৯৩ কোটি ২০ লাখ ডলার করা হয়েছে। এভাবে মোট মঞ্জুর করা ঋণের মধ্যে তৃতীয় কিস্তিতে ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সবশেষ গত ৮ মে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করার বিষয়ে কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থের ব্যবহার এবং শর্ত পূরণে অগ্রগতি দেখতে রিভিউ মিশন গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত সরকারি বিভিন্ন দপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে।
রিভিউ মিশনের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও সফর শেষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “আমরা আনন্দিত যে দ্বিতীয় কিস্তির অধীনে বাস্তবায়নকৃত নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্তের রিভিউ সম্পন্ন করেছি। কর্মকর্তা পর্যায়ে আমরা ঋণের পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একমত হয়েছি, যা আগামী সপ্তাহে নির্বাহী পর্ষদের সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে ছাড় করা হবে।”
তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় পেতে জুন শেষে নিট রিজার্ভ ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার রাখার শর্ত দেয় সংস্থাটি, যা আগের শর্তে ছিল ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। অন্যান্য শর্তে অগ্রগতি হওয়ায় বাংলাদেশের আবেদনে এ ক্ষেত্রে ছাড় দেয় তারা।
নতুন শর্ত অনুযায়ী, আগামী সেপ্টম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ও ডিসেম্বর শেষে তা ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতি ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবে ২৪ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম-৬ পদ্ধতির গ্রস হিসাবে তা ছিল ১৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের নিট হিসাব প্রকাশ করে না। শুধু আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থাকে জানিয়ে দেয়।
বিদেশি মুদ্রার সরবরাহ সঙ্কটের মধ্যে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ঋণ চায়। কয়েক দফা আলোচনা শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে ওয়াশিংটনভিত্তিক আর্থিক সংস্থাটি।
ঋণের শর্ত হিসেবে বেশ কিছু আর্থিক ও নীতি সংস্কারে মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
এগুলোর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারমুখী করা, ব্যাংক ঋণে সুদ হারের ৯ শতাংশের সীমা তুলে দেওয়া, ব্যাংক ঋণের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের তথ্য প্রকাশ, রিজার্ভের নিট হিসাব আইএমএফ স্বীকৃত পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী প্রকাশ, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের মত বিষয় রয়েছে।
চলতি মাসেই রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারে উঠবে
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উল্লম্ফনের কারণে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ বেশ খানিকটা বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।
সুখবর হচ্ছে, আইএমএফের ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের বাইরেও ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যেই বিশ্ব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি ও এআইআইবি ও কোরিয়া সরকারের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা হিসাবে আরও সোয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভে যোগ হবে।
তখন বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ বেড়ে ২২ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক হিসাব দিয়েছেন।
তখন সংকটের এই সময়ে বাংলাদেশের রিজার্ভ নিয়ে যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চলছে—তা আর থাকবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতির গবেষক আহসান এইচ মনসুর।
গত শুক্রবার বাংলাদেশকে ৯০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্ব আর্থিক খাতের মোড়ল সংস্থা বিশ্বব্যাংক। ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে এই ঋণের চুক্তি সই করেছে সংস্থাটি। এরমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি, ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা হিসেবে দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা মেহেরিন এম মাহবুব এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “সোমবার ইআরডি’র সঙ্গে ৯০ কোটি ডলারের দুই প্রকল্পের ঋণ চুক্তি সই হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজেট সহায়তার ৫০ কোটি ডলার বাংলাদেশের রিজার্ভে যোগ হবে।”
প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর পাশাপাশি রিজার্ভের তথ্যও প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।
এক সপ্তাহ আগে ১৪ জুন বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।
দুই সপ্তাহ আগে গত ৫ জুন বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ১৮ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার।
এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ বেড়েছে ৩২ কোটি ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে বেড়েছে ২৬ কোটি ডলার।
দুই সপ্তাহে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ বেড়েছে ৮৬ কোটি ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে বেড়েছে ৫৫ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক বিপিএম-৬ হিসাবের রিজার্ভকে ‘তাৎক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য’রিজার্ভ হিসাবে দাবি করে।
সবশেষ গত মার্চ মাসের আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে দেখা যায়, ওই মাসে পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের ৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে।
সে হিসাবে ‘তাৎক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য’ বর্তমানের ১৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ দিয়ে প্রায় চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড়াও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাজেট সহায়তার ২৫ কোটি ডলারও এ মাসেই রিজার্ভে যোগ হবে। গত ১০ জুন এডিবি’র সঙ্গে এই ঋণের চুক্তি সই করেছে ইআরডি।
এছাড়া এশীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাংক (এআইআইবি) ৪০ কোটি ডলার এবং কোরিয়া সরকার ১০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিচ্ছে। জুন মাসের মধ্যে এই ৫০ কোটি ডলারও রিজার্ভে যোগ হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
সব মিলিয়ে জুনের মধ্যেই বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংকট কেটে যাবে
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “দেশের সামস্টিক অর্থনীতিতে যে সংকট চলছে, তাতে আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণের বাইরে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও এআইআইবি’র বাজেট সহায়তা গ্রহণ একটি ভাল সিদ্ধান্ত। এই অর্থ সরাসরি রিজার্ভে যুক্ত হবে। এতে রিজার্ভ বেশ খানিকটা বাড়বে। স্বস্তি পাবে সরকার। সংকট কেটে যাবে বলে মনে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “হতাশ হওয়ার কিছু নেই। গত ৯ মে থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলার বিনিময় হারের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করেছে। এর পর থেকে ডলারের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, ডলারের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। রিজার্ভও বাড়বে।”
“রিজার্ভ কমায় সার্বিক বিষয় বিবেচনা নিয়ে আইএমএফ বাংলাদেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রাও কমিয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আইএমএফের দেওয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আইএমএফ ১৪ দশমিক ৭৫ কোটি ডলারে নামিয়েছে। এটা একটা স্বস্তির খবর।”
“আমার মনে হয়, রিজার্ভ আর কমবে না; বাড়তেই থাকবে,” বলেন দীর্ঘদিন আইএমএফের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসা আহসান মনসুর।
নিট রিজার্ভ
বিপিএম-৬ ও ‘গ্রস’ হিসাবের বাইরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না।
বিপিএম-৬ হিসাবের রিজার্ভ থেকে আকুর দায়, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা অর্থ এবং আইএমএফের স্পেশাল ড্রয়িং রাইট (এসডিআর) হিসেবে থাকা ডলার বাদ যায়। আর এ সব বাবদ বিপিএম-৬ হিসাবের রিজার্ভ থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার বাদ যায়।
এ হিসাবে বাংলাদেশের প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ এখন সাড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি।
কমেন্ট