রপ্তানি তথ্য সংশোধনে জিডিপি কমবে না: অর্থ মন্ত্রণালয়

রপ্তানি তথ্য সংশোধনে জিডিপি কমবে না: অর্থ মন্ত্রণালয়

এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না।

রপ্তানি আয়ের তথ্য সংশোধনের ফলে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মাথাপিছু আয় কমবে না বলে দাবি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের পাঠানো এক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রপ্তানির উপাত্ত সংক্রান্ত সংবাদের প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।

“সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এর রপ্তানি তথ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধনের (রিকন্সিলেশন) জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা কর্তৃক উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে বর্তমানে একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে।

“ফলে আশা করা যায়, এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না।”

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখায় বলা হয়, রপ্তানির বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রকৃতপক্ষে দেশে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক শুধুমাত্র সেই পরিমাণ অর্থ দেশের রপ্তানির পরিমাণ হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। জিডিপি'র হিসাব করার সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বাংলাদেশ ব্যাংকের এ হিসাবকেই বিবেচনায় নেয়।

“ফলে সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় রপ্তানি কমে যাওয়া এবং এর ফলে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কমে যাবার যে আশংকা করা হয়েছে তা সঠিক নয়।”

ব্যাখ্যাং আরও বলা হয়, ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চলতি হিসাব এবং আর্থিক হিসাবের কিছু ক্ষেত্রে উপাত্তের পুনর্বিন্যাস হয়েছে। তবে এর ফলে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সার্বিক ভারসাম্যে কোন পরিবর্তন আসবে না। ইতোমধ্যে সকলের অবগতির জন্য পুনর্বিন্যস্ত ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রদত্ত নগদ আর্থিক প্রণোদনার পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত প্রকৃত রপ্তানি আয় প্রাপ্তি এবং থার্ড পার্টি অডিটরের মাধ্যমে প্রকৃত ক্যাশ ইনসেন্টিভ নিরুপণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

“সুতরাং, সরকার কর্তৃক রপ্তানির বিপরীতে যে নগদ আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে তা সঠিক রয়েছে।”

গত ৩ জুলাই রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) রপ্তানির তথ্য সংশোধন করে প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে গত দুই অর্থবছরের (২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪) দশ মাস করে মোট ২০ মাসে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়ে গেছে।

রপ্তানি তথ্যের এই বড় গড়মিল ধরা পরার পর রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা বলেন,বছরের পর বছর ধরে প্রকৃত তথ্য আড়াল করে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে রপ্তানি আয় বেশি দেখানো হয়েছে। রপ্তানি আয়ের প্রকৃত প্রকাশের ফলে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মাথাপিছু আয় কমবে না বলে জানান তারা।

এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সার্বিক বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রীর বাদ দেওয়া সহকারী জাহাঙ্গীরের ব্যাংক হিসাব জব্দ পরবর্তী

প্রধানমন্ত্রীর বাদ দেওয়া সহকারী জাহাঙ্গীরের ব্যাংক হিসাব জব্দ

কমেন্ট