দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের ধরতে আরও কঠোর হবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের ধরতে আরও কঠোর হবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

শনিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের (বিআইজিএম) পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আর্থিকখাতে দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের ধরতে সরকার কঠোর উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেছেন, “আর্থিক খাতের দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি-গোষ্ঠী তথা রাঘববোয়ালদের ধরতে সরকার কঠোর উদ্যোগ নিচ্ছে। ভবিষ্যতে এসব উদ্যোগ আরও দৃশ্যমান হবে।”

শনিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের (বিআইজিএম) পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে বড়দের অনেকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এটা প্রাথমিক উদ্যোগ। এরপরে এ নিয়ে তদন্ত হবে। তদন্তে দোষ পেলে অভিযুক্ত হিসেবে তাদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। দ্রুততম সময়ে এসব কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।”

কিছু দিন আগেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “কালো টাকার বিষয়ে এনবিআর সরাসরি ব্যবস্থা নেবে; যাদেরই অপ্রদর্শিত আয় আছে, তাদের ধরবে।”

বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দাম যে একেবারে কমেনি, তা নয়। চট করে তো সমাধান হবে না। আস্তে আস্তে কমে আসবে। এরই মধ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; যেমন আলু ও পেঁয়াজ শুল্ক কমানো হয়েছে।”

এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, “বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ জন্য ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পণ্য সরবরাহের মাঝখানে থাকা বাড়তি হাতগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। এ জন্য নিয়মিত বাজার তদারকি করা হবে। তবে পণ্যের উৎপাদনকারীরা যেন ন্যায্যমূল্য পায়, তা দেখা প্রয়োজন।”

দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্প কারখানায় কয়েক দিন ধরে চলা অস্থিরতা নিয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা।

জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “পোশাক খাতের অস্থিরতা কমাতে মালিক-শ্রমিকের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা চলছে। পরিস্থিতি উন্নয়নে তারা সবাই সহযোগিতা করছেন।”

শিল্পখাতের অস্থিরতা শিগগিরই কেটে যাবে এমন প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মূল দায়িত্ব হলো শ্রমিকদের কথা শোনা।

মালিকদের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি মিলে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্রেড বডির সাথে কথা বলছি। কাল ও পরশু আবার কথা হবে। ওরা (অংশীদার) সবাই আসছে। বড় বড় যারা আছে, তাদের যথেষ্ট মেসেজ দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।”

আইএমএফের কাছে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার চাওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা পরবর্তী

আইএমএফের কাছে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার চাওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা

কমেন্ট