গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে সভা শনিবার, ব্যয় ৫ কোটি টাকা
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই সভা হবে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের সম্মানে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে স্মরণ সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তবর্তী সরকার। এই স্মরণ সভা আয়োজনে ৫ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই সভা হবে।
মঙ্গলবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে সভা হবে। এটার টাইটেল দেওয়া হয়েছে স্মরণ সভা।
“এই অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে ৫ কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ায় এবং তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে হচ্ছে। তাই অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদন নিতে হয়েছে। আইসিটি মন্ত্রণালয় এটা বাস্তবায়ন করবে।”
আইসিটি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, “অন্যান্য রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের মতই এ অনুষ্ঠানটা হবে। এখানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা থাকবেন, বিদেশি কূটনীতিকরা থাকবেন। এ বিষয়ে ব্রিফিং করে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় জুলাইয়ের শুরুতে। শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের এই আন্দোলন ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতায় রূপ নেয়।
পরের দিন সারাদেশে ছয় জনের মৃত্যু হলে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করে। বাড়তে থাকে সংঘাত, সহিংসতা এবং প্রাণহানি।
শুরুতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করে তৎকালীন সরকার। তবে এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
তীব্র আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত পতন ঘটে সরকারের। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
আন্দোলনের সমন্বয়কদের দাবি, প্রায় দেড়মাসে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী সহিংসতায় অন্তত ৬৫০ জন নিহত হয়েছে।
কমেন্ট