মার্চের মধ্যে ৯০ কোটি ডলার দেবে এডিবি
বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২০ টাকা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
সংকট থেকে কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে ঋণ-সহায়তা পেতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
এ তৎপরতার অংশ হিসাবে চলমান ঋণ ও ভবিষ্যৎ অর্থায়ন নিয়ে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আলোচনায় বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এডিবি। আর ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কারের জন্য আগামী বছরের মার্চের মধ্যে আরও ৫০ কোটি ডলার দেবে সংস্থাটি। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে এডিবি থেকে ৯০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ।
বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২০ টাকা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
রবিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে এই অর্থ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে এডিবির প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে এডিবির সিনিয়র অ্যাডভাইজার এডিমন গিনটিং, কান্ট্রি ডিরেক্টর হুয়ে ইউন জুয়াং, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “এডিবি আমাদের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। আজকের বৈঠকে আমরা ক্লাইমেট ফান্ড এবং অন্যান্য জলবায়ু প্রকল্পগুলো নিয়ে আলাপ করেছি। এছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও আলাপ হয়েছে।
“এডিবি তার চলমান অর্থায়ন প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আলাপ করেছি।”
বৈঠকে উপস্থিত অর্থমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এলডিসি গ্রাজুয়েশন (স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়া) উপলক্ষে বাজেট সহায়তা বাবদ এডিবির যে ৪০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা তা ডিসেম্বরের মধ্যে আসবে। এছাড়া ব্যাংকিং ও অন্যান্য খাতের সংস্কারের জন্য সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ব্যাংক খাতের সংস্কারের জন্য ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে এই খাতে ৫০ কোটি ডলার দেবে এডিবি। এছাড়া জ্বালানি খাতের উন্নয়নে এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
বৈঠকে অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমেন্ট