রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়ল

রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়ল

এনবিআর জানিয়েছে, রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পেশার করদাতাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রবিবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে, কোম্পানি ব্যতিত ২০২৪-২৫ করবর্ষের সব করদাতার জন্য জরিমানা ছাড়া রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অনলাইন ও অফলাইন উভয়ক্ষেত্রেই এই নতুন সময়সীমা কার্যকর হবে।

অতীতে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিবারই আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো হয়েছে। কোনো কোনো বার দুই-তিন বারও বাড়ানো হয়েছে।

গত বার এক দফায় দুই মাস সময় বাড়ানো হয়েছিল। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পেরেছিলেন করদাতারা।

রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর ক্ষেত্রে এবার ব্যতিক্রম দেখা গেলো। এর আগে রিটার্ন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর ওইদিন রাতে সময় বাড়ানোর ঘোষণা দিত এনবিআর; এবার বেঁধে দেওয়ার সময়ের দুই সপ্তাহ আগেই সময় বাড়ানো হলো।

রবিবার এনবিআর জানিয়েছে, রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পেশার করদাতাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। সময় বাড়ানো হলে সে বিষয়ে সাধারণত শেষ দিনে ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এবার আগেই এ বিষয়ে এনবিআর তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল।

এনবিআরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তাসহ নানা কারণে সময় বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছিল।

গত ২২ অক্টোবর এনবিআরের এক আদেশে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার সরকারি কর্মকর্তা, তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তাদের অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো হলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং নেস্‌লে বাংলাদেশ পিএলসি।

গত ৯ সেপ্টেম্বর অনলাইনে রিটার্ন জমার সিস্টেম চালু করা হয়। প্রতি কর্মদিবসে এখন গড়ে আট হাজার ই-রিটার্ন জমা দেওয়া হচ্ছে। এনবিআর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৫ হাজার ই–রিটার্ন জমা পড়েছে।

বর্তমানে ১ কোটি ৫ লাখের মতো কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছে। প্রতিবছর গড়ে ৪০ লাখের মতো টিআইএনধারী রিটার্ন জমা দেন।

৩ লাখ ৭৫ হাজার করদাতা অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিধান অনুযায়ী, বছরে আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হলে আয়কর প্রযোজ্য হয়। ব্যাংক হিসাব খোলা, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারসহ বেশ কিছু কাজে এখন রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

রিটার্ন জমা দিলে ব্যাংকে সঞ্চয়ে সুদ বা মুনাফা এবং পুঁজিবাজারে লভ্যাংশের ওপর আয়কর ১৫ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ হয়।

বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমাল আদানি পরবর্তী

বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমাল আদানি

কমেন্ট