ময়মনসিংহে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৩০০ কোটি টাকা দেবে এডিবি
মুক্তাগাছার নিমুরিয়ায় ৭৫ একর পতিত জমিতে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সরাসরি যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ২০ মেগাওয়াটের একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ২ কোটি ৪৩ লাখ ডলার ঋণ দেবে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১২০ টাকা) হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
এডিবি সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মুক্তাগাছা সোলারটেক এনার্জি লিমিটেডের (এমএসইএল) অধীনে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে। সেই কেন্দ্রে বছরে ৩৭ দশমিক ৯ গিগাওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সৌরভিত্তিক হওয়ায় বছরে ১৮ হাজার ৩৪৪ টন কার্বন নিঃসরণ এড়ানো সম্ভব হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ঋণের ২ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের মধ্যে এক কোটি ৫৫ লাখ ডলার এডিবি সরাসরি দেবে। বাকি ৮৮ লাখ ডলার দেওয়া হবে এডিবি পরিচালিত বিশেষ তহবিল লিডিং এশিয়া’স প্রাইভেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড-২ (এলইএপি-২) থেকে।
মুক্তাগাছা সোলারটেক এনার্জি লিমিটেড (এমএসইএল) বাংলাদেশের জুলস পাওয়ার লিমিটেডের (জেপিএল) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। ঋণচুক্তিটি হয়েছে এডিবি ও জেপিএল-এর মধ্যে।
এ বিষয়ে এডিবির বেসরকারি খাত বিষয়ক মহাপরিচালক সুজানে গাবুরি বলেন, “বাংলাদেশে টেকসই জ্বালানির জোগান বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে এডিবি এই বিনিয়োগ করেছে। এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বেসরকারি খাতকে দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে যুক্ত হতে সহায়তা করবে।”
জুলস পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূহের লাতিফ খান বলেন, “বাংলাদেশে এটি আমাদের দ্বিতীয় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। এতে এডিবির মতো প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থায়ন পেয়ে আমরা খুবই উদ্বেলিত। এমন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্তি টেকসই উন্নয়নের পথে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবসায় আমাদের অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।”
মুক্তাগাছা সোলারটেক এনার্জি লিমিটেডের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুাযায়ী, মুক্তাগাছার নিমুরিয়ায় ৭৫ একর পতিত জমিতে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সরাসরি যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।
বাংলাদেশে জ্বালানি ব্যবসা করতে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জুলস পাওয়ার। একটি ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশের বিদ্যুতের মোট চাহিদার মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশ আসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত থেকে।
কমেন্ট