অস্থিরতা-অনিশ্চয়তায় তলানিতে বিদেশি বিনিয়োগ
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশি বিনিয়োগের মন্দাভাব চলছে। ব্যবসায় পরিবেশবান্ধব পরিস্থিতির কোনও উন্নতি নেই। আবার স্থানীয় বা দেশি বিনিয়োগও খুব বেশি বাড়ছে না। এসব কারণে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে।
দেশে বিদেশি বিনিয়োগ নেই বললেই চলে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) মাত্র ২৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের নিট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে। এই অঙ্ক গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭২ শতাংশ কম।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৯০ কোটি ডলার নিট এফডিআই এসেছিল দেশে।
চলতি অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে জ্বালাও-পোড়াও, সংঘাত-সহিংসতা, নৈরাজ্য আর আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, শ্রমিক আন্দোলন সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলছেন, দেশে বিনিয়োগের অনুকুল পরিবেশ নেই। দেশি বিনিয়োগকারীরাই কোনও বিনিয়োগ করছেন না। এমন অবস্থায় বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না, এটাই বাস্তবতা।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশি বিনিয়োগের মন্দাভাব চলছে। ব্যবসায় পরিবেশবান্ধব পরিস্থিতির কোনও উন্নতি নেই। আবার স্থানীয় বা দেশি বিনিয়োগও খুব বেশি বাড়ছে না। এসব কারণে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে। দেশি বিনিয়োগ না বাড়লে বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে না।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “বিনিয়োগের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে অনুকূল পরিবেশ। সেই পরিবেশটা থাকলে দেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের দেশে বিনিয়োগ করেন। সেই পথ অনুসরণ করে বিদেশি বিনিয়োগারীরাও ওই দেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসেন। দেশি বিনিয়োগ না হলে বিদেশিরাও ওই দেশে বিনিয়োগ করতে আসেন না।”
তিনি বলেন, “অনিশ্চয়তা-অস্থিরতায় দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা এখন নতুন বিনিয়োগ না করে বসে আছেন। অপেক্ষা করছেন, পরিবেশের উন্নতি হলে বিনিয়োগ করবেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও সেই একই পথ অনুসরণ করছেন। তাই এফডিআই-এর এই করুণ দশা হয়েছে বাংলাদেশে।
“তবে কবে দেশে বিনিয়োগের অনুকুল পরিবেশ আসবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এর মধ্যে যদি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য দেশে চলে যায়, তাহলে আমাদের জন্য বড় বিপদ হবে। কর্মসংস্থান হবে না; অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
আজিজুল ইসলাম বলেন, “পদ্মা সেতু, মেট্টোরেল, কর্ণফুলী টানেল, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে ঘিরে দেশে বিনিয়োগের একটা আবহ দেখা দিয়েছিল। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবছিলেন। কিন্তু ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে দেশি-বিদেশি কোনও বিনিয়োগই হচ্ছে না দেশে।”
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার বিদেশি বিনিয়োগের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ২৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের নিট এফডিআই এসেছে।
ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এসেছিল ২১ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে মাত্র ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের নিট এফডিআই এসেছে বাংলাদেশে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৯০ কোটি ডলারের এফডিআই এসেছিল। ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এসেছিল ৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
আর পুরো অর্থ বছরে (১২ মাস, ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন) এসেছিল ১৪৭ কোটি (১.৪৭ বিলিয়ন) ডলার, যা ছিল আগের অর্থ বছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ কম।
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে মোট যে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আসে, তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ দেশে নিয়ে যাওয়ার পর যেটা অবশিষ্ট থাকে, সেটাকেই নিট এফডিআই বলা হয়ে থাকে।
এমনিতেই গত কয়েক বছর এফডিআইতে ছিল নিম্নমুখী প্রবণতা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট এফডিআইর পরিমাণ ছিল ১৭১ কোটি (১.৭১ বিলিয়ন) ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা কমে ১৬১ কোটি (১.৬১ বিলিয়ন) ডলারে নেমে আসে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অবহিত করে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই প্রতিবেদনেও বিদেশি বিনিয়োগ কমার তথ্য পাওয়া যায়।
সেখানে বলা হয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ১৫০ কোটি (১.৫ বিলিয়ন) ডলারের মতো বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। এর মধ্যে ইকুইটি বিনিয়োগ বা নতুন বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, প্রান্তিক হিসাবেও চলতি অর্থ বছরের বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে।
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নতুন ও পুনর্বিনিয়োগ মিলে এসেছে প্রায় ১৫ কোটি ডলার। পরের প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এসেছে প্রায় ৭ কোটি ডলারের কাছাকাছি।
বাংলাদেশের এফডিআইয়ের বড় অংশই আগে থেকে দেশে বিনিয়োগ করা কোম্পানির আয় ও অবণ্টিত লাভের পুনর্বিনিয়োগের মাধ্যমে আসে।
বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের চেম্বার অ্যামচেমের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “বাংলাদেশে এফডিআইয়ের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্র্যান্ডিং। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে আমরা আমাদের ব্র্যান্ডিং যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারিনি। এছাড়া আমাদের বন্দরের সমস্যা আছে। এতদিনেও আমরা আমাদের বন্দরের অটোমেশন করতে পারিনি। এটা খুবই দুখঃজনক।”
“বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। দেশে অস্থিরতা চলছে; অনিশ্চয়তা আছে। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে, এমনটা প্রত্যাশা করা সমীচীন হবে না।”
আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, বিদেশি কোম্পানিগুলো তিনভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।
মূলধন হিসাবে নগদ বা শিল্পের যন্ত্রপাতি হিসাবে, বাংলাদেশে ব্যবসা করে অর্জিত মুনাফা বিদেশে না নিয়ে পুনর্বিনিয়োগ করে এবং এক কোম্পানি অন্য কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারে।
এ তিন পদ্ধতির যেকোনোভাবে দেশে বিনিয়োগ আসলে তা এফডিআই হিসাবে গণ্য করা হয়।
করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থ বছরে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ (১.৭৭ বিলিয়ন) ডলারের নিট এফডিআই এসেছিল বাংলাদেশ, যা ছিল ৩৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি।
তার আগের অর্থ বছরে (২০১৯-২০) নিট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১২৭ কোটি ১০ লাখ (১.২৭ বিলিয়ন) ডলার।
মহামারির আগে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে হঠাৎ করেই বিদেশি বিনিয়োগে উল্লম্ফন দেখা যায়।
নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাব কম
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই নতুন বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব আসার গতি কমে গেছে। ২০১৬ সালে ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন হয় বিডায়। ২০১৭ সালে নিবন্ধন হয় ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছরই তা কমছে।
২০২২ সালে বিডায় ৩০২ কোটি ২৩ লাখ (৩.০২ বিলিয়ন) ডলারের শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন হয়। ২০২৩ সালে এটি কমে হয় ২২৮ কোটি ৭০ লাখ (২.২৮ বিলিয়ন) ডলার। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন হয়েছে ২১৮ কোটি ৮০ লাখ (২.১৮ বিলিয়ন) ডলারের।
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ২০২৪ সালের শেষ অর্ধে বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমে গেছে। গত বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে বিডায় শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন হয়েছে ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৬২ শতাংশ কম।
২০২৩ সালের একই সময়ে শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন হয়েছিল ১২৭ কোটি ৩৭ লাখ (১.২৭ বিলিয়ন) ডলারের।
যে সব কারণে কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ
নানা কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ কমে যাওয়ার কথা উঠে এসেছে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) এক জরিপে।
সম্প্রতি প্রকাশিত জেট্রোর জরিপ প্রতিবেদেন বলা হয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগে থাকা ৬১ দশমিক ২ শতাংশ জাপানি প্রতিষ্ঠান এখানে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী। আগের জরিপের তুলনায় এ হার ১০ দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। দুই বছর আগের একই ধরনের জরিপে এ হার ছিল ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ।
‘বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ এবং প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগে বড় ঝুঁকিগুলো হচ্ছে- রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অস্বচ্ছ নীতি ব্যবস্থাপনা, জটিল কর প্রক্রিয়া, অস্বচ্ছ ও মানহীন আইনি ব্যবস্থাপনা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, বিনিয়োগ অনুমতি ও নিবন্ধন সনদ পেতে সময়ক্ষেপণ ইত্যাদি।
করোনা মহামারির ধকল কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে দেখা দেয় উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ডলার সঙ্কট। এতে বিপাকে পড়তে হয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। এ ছাড়া বিভিন্ন খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও জ্বালানি সংকটের কারণে গত কয়েক বছর ধরে এমনিতেই বিনিয়োগ পরিস্থিতি খারাপ। এর ওপর কিছুদিন আগে শতাধিক পণ্যে শুল্ক-ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়টি হতাশা বাড়িয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের।
দেশের মোট এফডিআইর ৯০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)।
সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুল কবীর বলেন, “বিদেশি বিনিয়োগকারীরা গত কয়েক বছর ধরেই নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এফডিআই বেশ কমে গেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা স্থিতিশীলতা চান। একটা নিশ্চয়তা চান। আজকে শুল্ক-কর নিয়ে এক নীতি, কালকে আরেকটা, এমন হলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলার সঙ্কট, প্রশাসনিক নানা জটিলতা ইত্যাদি এফডিআইর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পর এলো শুল্ক-করে বড় পরিবর্তন। এফেক্টিভ ট্যাক্স রেট অনেক বেশি। অংশীজনের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা ছাড়াই এতগুলো পণ্যে ট্যাক্স-ভ্যাট বাড়ানো হলো। এটা আনপ্রেডিক্টেবল। বিনিয়োগকারীরা প্রেডিক্টিবিলিটি চায়। সেটার অভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি।”
“বাজেটের আগেই কারও সঙ্গে আলোচনা না করে এতগুলো পণ্যের ট্যাক্স-ভ্যাট বাড়ানো হলো। সবার তো একটা বিজনেস প্ল্যান আছে। শুল্ক-কর নিয়ে কোনও ইমপ্যাক্ট অ্যানালাইসিস নেই। যারা সিদ্ধান্ত নেন, তাদের তো এটা ভাবতে হবে,” বলেন টি আই এম নুরুল কবীর।
একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি এফডিআই নিয়ে এসেছে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই)।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জেটিআই বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পল হোলোওয়ে বলেন, জেটিআই বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারী। জেটিআই গ্রুপ গত ছয় বছরে এখানে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ধরে রাখার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো একটি টেকসই ও পূর্বানুমানযোগ্য ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা। শিল্পসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া হঠাৎ করে করের হার পরিবর্তন করা ও তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা এ সম্পর্কিত মৌলিক নীতি পরিপন্থী।”
ওই অর্থ বছরে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের (৩ বিলিয়ন) ডলারের রেকর্ড নিট এফডিআই পায় বাংলাদেশ, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ।
ওই অর্থ বছরে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে জাপানের কোম্পানি জাপান টোব্যাকো। আকিজ গ্রুপের তামাক ব্যবসা কেনা বাবদ প্রায় ১৫০ কোটি (১.৫ বিলিয়ন) ডলার বিনিয়োগ করেছিল তারা।
কমেন্ট